সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে পার্টির কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম তার নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেট এতে অনুমোদন দেন। আর জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় নারায়ণগঞ্জে জাপার রাজনীতিতে নতুন মেরু করণ শুরু হয়েছে। জয় হয়েছে নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার। এরশাদ মারা যাবার পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। তৈরী হয় জিএম-রওশন দুইটি গ্রুপ। রওশন এরশাদের পক্ষে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। তারা গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে গুলশানে জাপা সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বাসায় রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। শেষ পযর্ন্ত লিয়াকত হোসেন খোকা সেই দাবি থেকে সড়ে এসে জিএম কাদেরকে সমর্থন দেয় । তবে সেলিম ওসমানের বিষয়টি এখনো পরিস্কার নয়। এখনো সে রওশনপন্থী বলে জানা গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিএম কাদের চাইলে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে জাপার মনোনয়ন নতুন কাউকে দিতে পারেন। সেলিম ওসমান নাও পেতে পারেন জাপার মনোনয়ন । সেই ভয় রয়েছে তার । রওশন এরশাদ বৃদ্ধা হয়ে গেছে । আগামী নির্বাচনে তাকে ভালো সাপোর্ট দিতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে কাদেরের সমর্থকরাই এগিয়ে থাকবে।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টির বিভাজন দেখা দিয়েছে। একাধিক গ্রুপ তৈরী হয়েছে। যেমন পারভীন ওসমানের গ্রুপ, সেলিম ওসমানের গ্রুপ, খোকার গ্রুপ, এরশাদের পালিত কন্যা অন্যন্যা মৌসুমীর গ্রুপ। তাদের মধ্যে ঐক্যের অভাব দেখা দিয়েছে।